ফুল
তুমি শুধু গাছে গাছে ফুটেই থেকো না
তুমি শুধু খুশিই করো না পাখি, মৌমাছি
আর আগমনী গান গাইতে গাইতে ফুল তুলতে থাকা বৃদ্ধটিকে
তুমি রোজ ঝরে পড়ে
আদর করে দিও তোমার মা মৃত্তিকা
আর ফুল কুড়োতে আসা
শিশুদের আঙুলগুলিকে।
ছায়া
মসজিদের গায়ে লেখা আছে
সমস্ত ধর্ম সমান।
মন্দিরের গায়ে লেখা আছে
যত মত তত পথ।
গির্জা বলছে, ক্ষমা করে দাও সকলকে।
ধর্ম বলছে, ভালোবাসো, সহিষ্ণু হও
তবুও পৃথিবীতে
ধর্মের নামে হানাহানি আর থামেই না!
মাঝে মাঝে ধর্মকে মনে হয়
ঠিক দুপুর বারোটার রোদ্দুরের সঙ্গে
লড়াই করতে থাকা গাছ
চেষ্টা করছে প্রাণপণ
কিন্তু ছায়া দিতে পারছে না।
জন্মদিনে
তোমাদের মোমবাতির আলোর থেকে অনেক দূরে
ওই অনেক দূরের আকাশে
ওই এক কোণে ফুটে থাকা বিন্দুর মতো
আমি আজ
ছোট্ট এক তারা হয়ে
প্রাণপণে
তোমার কাছে
একটু আলো পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
…

জন্ম বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে। বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় জীবনের অনেকটা সময় কাটানো এই কবি, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। স্বল্পকালের জন্য ছিলেন সাহিত্য অকাদেমির পূর্বাঞ্চলের সচিব। কবিতা ও উপন্যাসের পাশাপাশি অংশুমান লিখেছেন বেশ কিছু ছোটোগল্প ও কয়েকটি নাটক। বিনয় মজুমদারের জীবন অবলম্বনে রচিত উপন্যাস “আমি বিনয় মজুমদার” ইতিমধ্যেই পাঠকের সমাদর পেয়েছে। অংশুমান ধারাবাহিক ভাবে যুক্ত থাকেন অনুবাদকর্মে। অনুবাদ করেছেন মালয়ালাম কবি কে. সচ্চিদানন্দনের “নির্বাচিত কবিতা”। ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষার প্রতিনিধি-স্থানীয় কবিদের কবিতা অনুবাদ করেছেন “ভারতবর্ষের কবিতা” শীর্ষক গ্রন্থে৷ দীর্ঘদিন ছিলেন “কৃত্তিবাস” পত্রিকার সহ-সম্পাদক। বর্তমানে সম্পাদনা করেন উল্লেখযোগ্য সাহিত্যপত্র “গভীর নির্জন পথের গদ্যপদ্যপ্রবন্ধ” ও ভারতীয় কবিতার ইংরেজি অনলাইন পত্রিকা “পোয়েট্রি ইন্ডিয়া”। কবিতা রচনার জন্য অংশুমান পেয়েছেন বাংলা আকাদেমি, কৃত্তিবাস, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ প্রভৃতি পুরস্কার। কবিতা পড়েছেন বাংলাদেশ, স্কটল্যান্ড, আমেরিকা ও জার্মানিতে।

তিনটি কবিতা সময়ের আয়না হয়ে উঠেছে। পাঠক খুব স্পষ্টভাবে সমাজের ছবি দেখতে পাবেন।
কবিতার গুণগত মান যথেষ্ট।
জন্মদিনে কবিতাটি যেন ছুঁয়ে গেল! আঃহা কত সহজে কতকিছু বলা হয়ে গেল। মুগ্ধ হলাম।
ভালো লাগলো আপনাদের পত্রিকা।