মানুষ ছাড় দেয়—কিছু পাওয়ার জন্য, আশায়, স্বপ্নে।
কেউ পায়, আর কেউ আরও বেশি হারিয়ে ফেলে। কিন্তু কেন?
—মামা, এই ‘কেন’-টা কিসের জন্য?
হারানোর জন্য, না পাওয়ার জন্য বলছেন?
—ও, তাই তো!
আমার সমস্যাটাই আসলে এখানে।
আমি যা বুঝে লিখি, পাঠক বোঝে আরেক রকম। বউও তাই বলে!
তবে শুনেছি, “বউ” ব্যাপারটা আলাদা।
সবার বউই নাকি ‘বলে’… মানে, বলতেই থাকে!
অনেকটা ফুটবল খেলার রেফারির মতো—
সারাক্ষণ মাঠজুড়ে দৌড়ায় আর বাঁশি বাজায়।
বাঁশি বাজানো সে বন্ধ করবে না।
সবাই বিরক্ত হয় রেফারির এই দৌড়ঝাঁপ আর বাঁশির শব্দে,
কিন্তু রেফারি ছাড়া কেউ খেলাও দেখতে চায় না।
তার মানে, বেদনা ভালো লাগে বলেই আমরা বউকে বাদ দিতে পারি না।
নাটক বা সিনেমায় যেমন ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক লাগে—
ঘরে ঐ মিউজিক তুমি কোথায় পাইবা!
ঘরে এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা আর কী হতে পারে…
মাশা-আল্লাহ বলো, মাশা-আল্লাহ বলো।
নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করলে কিন্তু এমন প্রাকৃতিক মিউজিক থেকেও ব্যঞ্জিত হইবা!
—বলছিলাম তো মামা… শুকরিয়া, শোকর আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু মামা—আমার প্রশ্নটা আপনি গুলিয়ে ফেললেন।
এখন কী থেকে কী সব বলতেছেন…
—না না! আমি লাইনেই আছি।
তোমারে এইসব না বললে, আমার কথার মানে বুঝবা না।
পৃথিবীর কোনো কিছু এমনি এমনি হয় না।
তোমারে বলছিলাম—কে পায় আর কে হারায়?
এতক্ষণ পেছাল পাড়ায় এইটুকু লাভ হইছে—
তোমারে এখন বললেই তুমার বুঝতে সহজ হবে।
—সবকিছু সেই-ই পায়, যে রেফারির বাঁশি উপভোগ করে।
আর যে বেশি হারায়! —সে খেলা দেখে ঠিকই, কিন্তু সারাক্ষণ ভাবে—
“বাইরে যদি কোনোদিন এই রেফারিকে পাই, সেদিন তারে বুঝায়ে ছাড়ব—
যে আমার নাম কলিম উদ্দিন।”
৩০ জুন ২০২৫

কবি, সম্পাদক, পুস্তকপ্রকাশক, স্থিরচিত্রগ্রাহক ও স্বতঃপ্রণোদিত তথ্যচিত্রনির্মাতা। আবির্ভাবকাল বিবেচনায় একবিংশ শতকের প্রথম দশকের লেখকদলের অন্তর্ভূত। পূর্বপ্রকাশিত কবিতাবই তিনটি : ‘অনক্ষর ইশারার ঘোর’ ২০১৫, ‘কয়েক পৃষ্ঠা ভোর’ ২০১৯, এবং ‘রুদ্ধজনের রাগ ও সম্বিৎ’ ২০২৫; অন্য বই ইংরেজিতে অনুদিত : ‘The layers of Dawn’ ২০১৮ সালে বের হয়েছে। সম্পাদনা করেন সাহিত্যপত্র ‘সূনৃত’ ও ওয়েবম্যাগ ‘রাশপ্রিন্ট’। ছোটকাগজ সম্পাদনায় পেয়েছেন ‘সমুজ্জ্বল সুবাতাস ২০১৩’ সম্মাননা। যুক্তরাষ্ট্রেরে প্রথম রাজধানী ফিলাডেলফিয়া, সেখানে প্রথম ‘বইমেলা ৩১ মে ২০২৫’ করতে সক্ষম হন। ফিলাডেলফিয়ায় প্রথম বাংলা সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ এবং সম্পাদনা করেন ‘ফিলাডেলফিয়া, মে ২০২৫’ নামেই।
নাট্যসংগঠনের সঙ্গে সংলিপ্ত। জন্ম ও বেড়ে-ওঠা বাংলাদেশের উত্তরপূর্ব সীমান্তবর্তী সিলেট শহরে ৫ জানুয়ারি ১৯৭৮ সালে। পেশাসূত্রে সপরিবার বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায়।
বিষাদমুক্ত, ভ্রমণপ্রিয়, বন্ধুবৎসল। ফোন : +1 (929) 732-5421 ইমেল: ahmedsayem@gmail.com