একই নিউজ দশটা পত্রিকায় দশ রকম ভাবে ছাপা হয়, ঘটনা একটা ঠিকই আছে, কিন্তু একেক জন একেক ভাবে দেখেছে, ভেবেছে, তাই ভিন্ন ভিন্ন হয়। কিন্তু মূল বিষয় একই থাকে। কবিতা এর চেয়ে অনেক বেশি আলাদা হয়ে যায়—যা আমি মনে করি।
কবি যে বিষয় মাথায় নিয়ে লেখা শেষ করেন, দেখা যায় পাঠক তার ধারে-কাছেও না গিয়ে অন্য একটা বিষয় উপস্থাপন করছেন। যা শুনে লেখক একেবারে ঘাবড়ে যান। না, এই ঘাবড়ে যাওয়া নেতিবাচক নয়; তিনি ভাবেন, বাহ, এভাবেও ভাবা যায়! সুন্দর।
জানি না, কার কেমন মনে হয়—হতেই পারে। একেক জন একেক অবস্থান থেকে পড়েন, তাই ভাবনাটা আলাদা হবেই। এটাই স্বাভাবিক, এটাই সৌন্দর্য। তার মানে এই নয় যে হাত রক্তে রাঙাতে হবে।
সত্যি বলতে ভাবনার শেষ নেই, ঘটনারে যে ভাবে ভাবতে যাবেন, মানিয়ে যাবে, আপনার ভাবনার মূল্যায়নের জন্যও শুধু ভাবতে হবে না।
আমার আগের গদ্যটা পড়ে একজন ফোন করলেন, খুব পরিচিত, তিনি জানতে চাইলেন—আমি কি শিক্ষার বিপরীতে কিছু ভাবছি? কিছুক্ষণ নিঃশব্দ ছিলাম। কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। তাকে বললাম, এমন শিক্ষার প্রয়োজন কী, যে শিক্ষার জন্য আমার শান্তি, আমার পরিবারের শান্তির জন্য আপনাকে হত্যা করতে হবে? আমার মতের বিরুদ্ধে গেলেই একটা দেশকে, দেশের সব মানুষকে হত্যা করতে হবে? যদি এটাই শিক্ষা হয়, আমি এমন শিক্ষা চাই না। আমার লেখা পড়ে কি আপনাকে সত্যিই মনে হচ্ছে যে আমি শিক্ষার বিপরীতে কিছু ভাবছি?
জানি না, কার কেমন মনে হয়—হতেই পারে। একেক জন একেক অবস্থান থেকে পড়েন, তাই ভাবনাটা আলাদা হবেই। এটাই স্বাভাবিক, এটাই সৌন্দর্য। তার মানে এই নয় যে হাত রক্তে রাঙাতে হবে।
আজ ফেসবুকে দেখলাম, একজন লিখেছেন—একটা দোকানে চা দিতে দেরি হওয়ায় দোকানের স্টাফকে ওপরে (খুন) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে… ভাবেন…
০৭/১৪/২০২৫

কবি, সম্পাদক, পুস্তকপ্রকাশক, স্থিরচিত্রগ্রাহক ও স্বতঃপ্রণোদিত তথ্যচিত্রনির্মাতা। আবির্ভাবকাল বিবেচনায় একবিংশ শতকের প্রথম দশকের লেখকদলের অন্তর্ভূত। পূর্বপ্রকাশিত কবিতাবই তিনটি : ‘অনক্ষর ইশারার ঘোর’ ২০১৫, ‘কয়েক পৃষ্ঠা ভোর’ ২০১৯, এবং ‘রুদ্ধজনের রাগ ও সম্বিৎ’ ২০২৫; অন্য বই ইংরেজিতে অনুদিত : ‘The layers of Dawn’ ২০১৮ সালে বের হয়েছে। সম্পাদনা করেন সাহিত্যপত্র ‘সূনৃত’ ও ওয়েবম্যাগ ‘রাশপ্রিন্ট’। ছোটকাগজ সম্পাদনায় পেয়েছেন ‘সমুজ্জ্বল সুবাতাস ২০১৩’ সম্মাননা। যুক্তরাষ্ট্রেরে প্রথম রাজধানী ফিলাডেলফিয়া, সেখানে প্রথম ‘বইমেলা ৩১ মে ২০২৫’ করতে সক্ষম হন। ফিলাডেলফিয়ায় প্রথম বাংলা সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ এবং সম্পাদনা করেন ‘ফিলাডেলফিয়া, মে ২০২৫’ নামেই।
নাট্যসংগঠনের সঙ্গে সংলিপ্ত। জন্ম ও বেড়ে-ওঠা বাংলাদেশের উত্তরপূর্ব সীমান্তবর্তী সিলেট শহরে ৫ জানুয়ারি ১৯৭৮ সালে। পেশাসূত্রে সপরিবার বসবাস যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায়।
বিষাদমুক্ত, ভ্রমণপ্রিয়, বন্ধুবৎসল। ফোন : +1 (929) 732-5421 ইমেল: ahmedsayem@gmail.com
