Tuesday, December 23, 2025
Homeকবিতাপ্রান্তরগগলসের ইন্টার্ভিউ ও গিটারিস্ট । নাঈম ফিরোজ

গগলসের ইন্টার্ভিউ ও গিটারিস্ট । নাঈম ফিরোজ

কীউরিওসিটি

এমিকাস কিউরিরা এই শীতে কোর্টখোপে আসেনি তাও রাস্পবেরি বনে ধীরললিত ঘুমিয়ে ছিলো আজাজিল।
চা এর ফিউমে শেষবারের ঘঁষা দিয়ে আচিক সালাদ কিনে নিয়ে গেছে নালন্দার মুসল্লি।
কী এক অজানা জেটিতে আজও সস্তায় কিনে নিয়ে নিলো হরিণবেশী নারীজন্ম বৃহৎশিশ্ন ভুবনমোহন নিগ্রোর পেশি!
রাত বাড়ে, কীউরিওসিটি মস্ত বাড়ে। ভানলাম উইগের গীত আদালত জড়ভাবাপন্ন হলে ভ্রুক্ষেপেই লাক্ষারস ভেঙে দেই?

মেঘপোড়া গগলসের ইন্টার্ভিউ

এইরংকাটা জামার ন্যায় যিশু খোঁজে যে তার সাথে ক্যাথেড্রাল গগনচারী হয়।
মেঘজাত আক্ষেপ  শিয়ালগানে তার বাসায় রেডিও বাজে কেনো?
এহ্ ওয়াটারলু যুদ্ধের গণিমত একটা মাত্র পিরামিড?
কমলা ও সবুজাভ ইহাদের প্রার্থন-আঙুল!
শোকতপ্ত মাইক্রোফোন নিয়ে এ বীতশোক শহর তার ক্লান্তির বাইবেল মোছে, নিকোলাস শান্তিদূত!
তিপ্পান্ন বছরভর কারে যেন গাঙ্গেয় অববাহিকায়  রোজ দোকান সাজাতে দেখা যায়  দ্বিখণ্ডিত গগলস মুছে মুছে,  অরাজনৈতিক।

উইশ

প্রতিটি উৎসব শেষে তাকিয়ে থাকে মন, ফুলকি। বেগুনি সন্ধ্যারা নাবে, ঘনায় গোলাপি অন্ধকার!
পীত আলোর এসেম্বলিতে আছড়ে পড়ে কালজয়ী হিজলের কোলাজ!
তারপর আমাদের ক্যারাভান থামে ইতিউতি তাকিয়ে বারেক হাই তুলি গ্যাভারডিনের ঈজেল রাঙাই ফ্রয়েডে।
বৃষ্টিতে লেখা ইশতেহার পড়ে ক্লান্তিহীন ব-দ্বীপীয় শেলফ থেকে অন্ধকার ঝেড়ে বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর পাতার প্রতিটি বই পড়ে ফেলে এক নিঃশ্বাসে আমি হয়ে উঠি বহুমার্গ উদ্বেল!
কোথাও দুটো কানাকুয়া ডেকে উঠে পরস্পরবিরোধী আমি সেই ডাকে ২০১৬ নং তাকে একখানা কিতাব পেয়ে চমকে উথলে উঠি শিরোনামে-
‘আমি বাংলাদেশ নই’
নভোমণ্ডল এর অপবিদ্যা হতে উত্থিত এই বিশ্বাসঘাতক শিরোনাম আমার সহস্র বছরের ত্যাগকে এক ঝটকায় শুলে চড়ায় যেন……!
বহুবর্ণ রক্তেমাখা সেই বইয়ের পাতাগুলো  রুদ্ধস্বর ওল্টাতে থাকি আমি….
আমি সেখানে আবহমান একগুচ্ছ চেতনা বপনের স্বপ্ন দেখি, রক্তরঙ মুছে ছায়াঘন এক অভয়ারণ্য বুনতে উদ্যোগী হই…..
ইতোমধ্যে আমার গ্রীবার কাছে কে যেন একটা শীতলধার রুপালি ফলা ছোঁয়ায়ে বলে – ” উপড়াও!”
আমি এক ঝটকায় তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে আসি।
তার আশি ঘন্টা অন্তে একটা খুদে স্ট্যাটাস-
‘বাংলাদেশ’!
ভাইরাল হয়ে যায় ল্যাভিয়াথানের হিংস্রতায়!
ষড়ঘুমগানের বিবিধ অন্তরায় বাংলাদেশের গন্ধ এখনো  লেগে আছে আমার গায়!

গ্যাব্রিয়েলগান

আহ্ ইন্সিস্ট করোনা জলাবর্ত, আমি উন্মূল ওহির নিচে খেপ মেরে লিখবোনা অলিভ বিয়ারের দেশ! প্রাইভেটটিউটর হয়ে দ্বিতল দোজখের দেয়ালে  মেরে দিয়ে আসবোনা সৌরতলির গ্রাফিতি। বিক্ষত আপেলের অপারগতায় আহা ডাকি নাতো আমি অন্য ভাষায় ‘আমিন আমিন’…… ফেরারি গ্যাব্রিয়েলগান শুনে নেই প্রয়োজন মহিমান্বিত জন লেননের লেবুগাছ। মুখ্যার্থত লিভারপুলের মার্সেই নদীর অদূরেই জপিতাছি ক্রেয়নরঙিন উল্কাপিণ্ড আমার অরুণ ব্রীড়ার তশবিহি। এনকোডিংপ্রসূত বেহাগ সুর আরম্ভস্থল হতে এক পাখি অদূরেই  আমার ঘাম ঝরে  ধানমন্ডির শ্যামল হ্রদে।

যা কিছু এনে দিবো তোমারে প্রিয়তমা

গোলান হাইটসের গিটারিস্ট আচ্ছন্নদৃষ্টি, রন্ধ্রগত গোলাপজল
এইখানে উতরে গেছে নিদ্রোত্থিতা! তার পিঠের আবশ্যিক ক্রোমিয়াম।
আঁশগুলো ছাড়ায়ে নিয়ে ভূট্টারজুসে মায়াময় ভোর। বেগুনি পাখিদের দেশ মেজো মেহগনির ঝাঁক ফিউমিং হেলিকপ্টার ফুটে আছে আইকারুসের তল্পিতল্পায়
এইরাতের অভিলাষ নিংড়ানো জড়োয়ার ঘ্রাণ
লুটে নিয়ে তোমাকে দেবো, কাঁকন!

এইরকম আরও পোস্ট
- Advertisment -
ad place